ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৩/০৮/২০২৩ ৭:৩১ এএম

বোতলজাত পানি বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু কোম্পানি বিক্রেতার কমিশন বাড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। এই বাড়তি কমিশন ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করতে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাম।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাড়তি দামের কিছুই পাচ্ছে না কোম্পানি, পুরোটাই যাচ্ছে বিক্রেতার পকেটে। তবু কোম্পানি দাম বাড়াচ্ছে এ কারণে যে, বাড়তি কমিশন পাওয়ার জন্য যেসব কোম্পানির পণ্যের দাম বেড়েছে, বিক্রেতারা সেসব কোম্পানির পণ্যই দোকানে রাখছেন। তাতে ক্রেতারা বাধ্য হচ্ছে সেগুলো কিনতে।

এভাবে ভোক্তাদের বাড়তি দাম পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছে পরোক্ষভাবে। আর পরোক্ষভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হলেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা প্রতিযোগিতা কমিশন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে একটি কোম্পানি একে ‘বিপণন কৌশল’ আখ্যা দিয়েছে। আরও কয়েকটি কোম্পানিকে এই কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের একজন অধ্যাপক একে ‘অপকৌশল’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এভাবে বাজারের প্রতিযোগিতা নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। প্রতিযোগিতা কমিশনের বিষয়টি দেখা উচিত।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও বলেছে একই কথা। তারা বলছে, বোতলের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য অনুযায়ী পণ্য বিক্রি না হলেই তারা ব্যবস্থা নিতে পারে। এই কৌশলে বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তদারকির দায়িত্ব প্রতিযোগিতা কমিশনের।

তবে প্রতিযোগিতা কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

রাজধানীর মহাখালী আমতলীতে কথা হয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রহস্যজনক বিষয় হচ্ছে, যেগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে দোকানিরা বেছে বেছে সেই পানিগুলোই দোকানে রাখছেন। এখন আর চাইলেও কোথাও ১৫ টাকায় ৫০০ মিলিলিটারের পানি পাওয়া যাচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় পানিও পিছিয়ে নেই।”

বাড়তি দামের বোতলই দোকানে বেশি

কিনলে, মাম ও অ্যাকুয়াফিনার ৫০০ মিলি বা আধা লিটারের বোতলের দাম সম্প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ২০ টাকা হয়েছে।

সমজাতীয় অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় ৫ টাকা বেশি হলেও প্রান্তিক দোকানগুলোতে এই তিনটি ‘দামি’ ব্র্যান্ডই শোভা পাচ্ছে বেশি।

কিছু কিছু বড় দোকানে স্পা, প্রাণ, জীবন, ডেইলি, মুক্তা ও ফ্রেশসহ বিভিন্ন কোম্পানির ১৫ টাকা দামের বোতল দেখা গেলেও সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না।

পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ভোক্তারা সুলভে কিছু পেলে সেই পণ্যই কিনবে, তবু বিক্রেতারা বাড়তি দামের পানি কেন রাখছেন- এই প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে গিয়ে জানা যায় বিক্রেতার বাড়তি কমিশনের বিষয়টি।

বোতলের পানি: বাজার নিয়ন্ত্রণের ‘কমিশন কৌশলে’ ভোক্তার ক্ষতি
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো বাড়তি দামের প্রায় পুরোটাই দিয়ে দিচ্ছে তাদের পকেটে। বাড়তি লাভ পেয়ে দামি পানি বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন তারা।

ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজার ঘুরে দেখা গেল, কিনলে, অ্যাকুয়াফিনা ও মাম ব্র্যান্ডের আধা লিটারের (৫০০ মিলি) বোতলগুলো দোকানিরা এখন কিনতে পারছেন প্রতিটি ১০ টাকায়। নতুন এমআরপি (সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য) অনুযায়ী এসব পানি ২০ টাকা করে বিক্রি করতে পেরে তারা বেজায় খুশি।

গত জুনের আগে এসব বোতলের এমআরপি ছিল ১৫ টাকা করে; তখন কিনতে হত ৯ টাকা ৩৭ পয়সায়। আগে যেখানে বোতলপ্রতি ৫ টাকার কিছু বেশি লাভ হত, এখন সেখানে লাভ হচ্ছে ১০ টাকা।

মহাখালীর চা দোকানি রতন শিকদার জানান, তার দোকানে মাম পানির ৫০০ মিলির বোতলগুলোর কেনা দাম ৯ টাকা ৭৯ পয়সা। বিক্রি করছে ২০ টাকায়।

কিছুদিন আগে ১৫ টাকা এমআরপি লেখা থাকার সময় এসব পানি কিনতে হত ৮ টাকা করে। সে হিসাবে তখন লাভ হত ৭ টাকা, এখন লাভ হয় ১০ টাকার বেশি।

কয়েকজন পাইকারি বিক্রেতা জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো বিভিন্ন অফার ও প্যাকেজ আকারে পানি সরবরাহ করে। প্যাকেজে কখনও কখনও ১০ টাকারও অনেক কমে পানি পাওয়া যায়। পরিচিত ক্রেতাদের কাছে ২০ টাকার কমে পানি বিক্রি করেন তারা। এতে দোকানির প্রতি ক্রেতার আস্থা বাড়ে।

বোতলের পানি: বাজার নিয়ন্ত্রণের ‘কমিশন কৌশলে’ ভোক্তার ক্ষতি
মামের মূল কোম্পানি পারটেক্স বেভারেজের ‘ডেইলি’ নামে আরেকটি ব্র্যান্ড রয়েছে বাজারে। মামের দাম বাড়লেও ডেইলি আগের মতই আধা লিটার ১৫ টাকা এবং এক লিটার ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে মামের তুলনায় ডেইলির উপস্থিতি কম।

ভোক্তা অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মুখপাত্র কাজী আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একদিকে দাম বাড়াবে আরেক দিকে খুচরা বিক্রেতাদের মুনাফার মার্জিন বাড়িয়ে দিয়ে বাজার ধরার চেষ্টা করবে, এটা একচেটিয়া ব্যবসা বা মনোপলির কূটকৌশল।

“এক সময় বাজারে অভ্যস্ততা সৃষ্টি হলে তার হয়ত খুচরার লাভের মার্জিন কমিয়ে আনবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার মেন্ডেট আছে।”

‘কৌশল’ নিয়ে চুপ বেশিরভাগ কোম্পানি

বিক্রেতার কমিশন বাড়িয়ে ক্রেতাকে বাড়তি দরের পণ্য কিনতে পরোক্ষভাবে বাধ্য করার বিষয়টি নিয়ে মাম পানির উৎপাদক পারটেক্স বেভারেজ, অ্যাকুয়াফিনার পেপসিকো এবং কিনলের উৎপাদক কোকাকোলার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

তবে পেপসিকো ছাড়া অন্য কোম্পানির কাছ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

ফোনে জবাব না পেয়ে কোম্পানিগুলোর দাপ্তরিক ই-মেইলে বার্তা পাঠানো হয়। তবে চার দিনেও কোনো সাড়া মেলেনি।

কোকাকোলা বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছুটিতে রয়েছেন বলে সেখান থেকে জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কয়েকদিন সময় চাওয়া হয়।

পেপসিকো বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি ফাহিম আনিস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অ্যাকুয়াফিনার ৫০০ মিলি পানির দাম বাড়িয়ে ২০ টাকা করা হয়েছে, এটা কোম্পানির প্রাইস পলিসি। খুচরা বিক্রেতাদের লাভের মার্জির আগে ছিল বোতলপ্রতি ৬ টাকা ৩০ পয়সা। এখন সেটি ৮ টাকা থেকে ক্ষেত্র বিশেষ ১০ টাকা করা হয়েছে।”

বাড়তি দামের প্রায় পুরোটা বিক্রেতাকে কমিশন হিসেবে না দিয়ে দাম না বাড়ালে তো ক্রেতার ওপর চাপ পড়ত না- এই প্রশ্নে সেই কর্মকর্তা বলেন, “এটা বাজারে আমাদের একটা মার্কেটিং পলিসি বলতে পারেন। এতে খুচরা বিক্রেতারা অ্যাকুয়াফিনা বিক্রিতে বেশি উৎসাহ বোধ করবেন।”

অন্য কোম্পানিও কি দাম বাড়াবে?

প্রাণ, ডেইলি, স্পা, জীবন, মুক্তা, ক্রিস্টাল, ফ্রেশসহ যেসব কোম্পানি দাম বাড়ায়নি তারাও মাম, কিনলে ও অ্যাকুয়াফিনার পথ অনুসরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও কোম্পানিগুলো নিশ্চিত করেছে, পানির বর্তমান দামে তাদের ভালোই মুনাফা হচ্ছে।

আগারগাঁও এলাকায় প্রাণের একজন পরিবেশক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তাদের ৫০০ মিলি পানির বোতলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৫ টাকা। এসব বোতল তারা ৮ থেকে ৯ টাকায় বিক্রেতাদের হাতে তুলে দিয়ে বাজার ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।

প্রাণ আরএফএল গ্রুপের বিপণন বিভাগের পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ও বিপণনে খরচের বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে প্রাণ পানির দাম না বাড়িয়ে বাজার পর্যবেক্ষণ করছে।”

বোতলের পানি: বাজার নিয়ন্ত্রণের ‘কমিশন কৌশলে’ ভোক্তার ক্ষতি
খরচ বাড়লেও তাদের লোকসান হচ্ছে না বলেই স্বীকার করেন তিনি।

স্পা পানির উৎপাদক আকিজ গ্রুপের বিপণন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, “ভবিষ্যতে দাম বাড়াতে হতে পারে বলে কোম্পানির শীর্ষ ব্যক্তিরা মনে করছেন।”

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট্রের মৈত্রী শিল্প ‘মুক্তা’ নামে যে পানি বাজারে ছাড়ে, সেটি সেভাবে বাজারে পাওয়া যায় না।

সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য আধা লিটার ১৫ টাকা ও এক লিটার ২৫ টাকা হারে পানি বিপণন করলে ভালো মুনাফা থাকছে বলে স্বীকার করেন মুক্তা পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা।

তবে অন্য কোম্পানি দাম বাড়ালে ‘ব্র্যান্ড ভ্যালু’ ধরে রাখতে অন্যান্য দাম ‘বাড়াতে হবে’ বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তবে তিনি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

‘অসৎ চর্চা’ দেখা উচিত প্রতিযোগিতা কমিশনের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অর্থনীতির সূত্র অনুযায়ী কোনো কোম্পানির পণ্যের দাম বাড়লে কম দামের অন্য কোম্পানির সুযোগ নেওয়ার কথা।

তিনি বলেন, “কিছু ব্র্যান্ড এভাবে পানির দাম বাড়িয়ে দিলে তা অন্য কোম্পানিগুলোর বাজার ধরার একটা সুযোগ হিসাবে দেখা দেবে। যারা দাম বাড়ায়নি তারা চাইলে ব্যাপকভাবে বাজার ধরার সুযোগ নিতে পারবে। ফলে বাজারে প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়।”

যেগুলোর দাম বেড়েছে, সেগুলোই দোকানে বেশি রেখে ক্রেতাকে তা কিনতে বাধ্য করার বিষয়ে জানালে এই বিপণন বিশেষজ্ঞ বলেন, “প্রতিযোগিতা কমিশন চাইলে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাজারে কোনো অসৎ চর্চা হচ্ছে কিনা তারা দেখতে পারে।”

পানি কোম্পানিগুলোর এই কৌশল নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানালেন সংস্থার মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, “মূল্য নির্ধারণ সঠিক হল কিনা সেটা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন দেখতে পারে। ভোক্তা অধিকার শুধু এমআরপি অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা সেটা দেখবে।

“তবে কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্যে বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন স্তরে কমিশনের হার বাড়িয়ে দেয়, এর প্রমাণ পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া এ ধরনের বিষয়গুলো প্রতিযোগিতা কমিশনও দেখতে পারে।”

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মো. ওয়াদুদ হোসেনও বললেন একই কথা।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেউ যদি বাজারে একচেটিয়া কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সেটার জন্য বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন রয়েছে। সেখানে এসবের প্রতিকার পাওয়া যাবে।”

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, “কোম্পানিগুলো পণ্যের দাম অতিরিক্ত বাড়ালে ভোক্তার কাছে সেই পণ্যের চাহিদা কমে যাবে। এক্ষেত্রে যেসব পণ্যের দাম এখনও কম আছে বাজারে সেগুলোর সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। তাহলে এ ধরনের উচ্চমূল্যের পণ্য কোণঠাসা হয়ে যাবে।

“তবে বিপণন ব্যবস্থায় কেউ যদি বেআইনিভাবে কোনো কৌশল অবলম্বন করে থাকে, তাহলে এর বিরুদ্ধে ভোক্তাদের কেউ প্রতিযোগিতা কমিশনে প্রতিকার চাইতে পারে।”

কী ভাবছে প্রতিযোগিতা কমিশন

কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত অর্থবছরের শেষ দিকে বোতলজাত পানির বাজার পরিস্থিতির ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন তারা। সেখানে পানির খুচরা মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর অনেক অনিয়ম খুঁজে পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, “সারাদেশে বোতলজাত পানি বাজারজাতকরণে বিএসটিআইর লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৩২টি কোম্পানি রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০টি কোম্পানি প্রায় পুরো বাজারের দখল নিয়ে রেখেছে। একেক কোম্পানির উৎপাদন খরচ একেক রকম হলেও তারা সবাই গড়ে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা করে ৫০০ মিলি পানির বোতলের দাম রাখছে। এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না, তা ভাবছে কমিশন।”

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে বোতলজাত পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং খুচরা দোকানে কমিশন বাড়িয়ে বাজার ধরার কৌশলটি জানানো হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এবিষয়ে অধিকতর খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে বিধিনিষেধ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ...